সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা~
A+ এবার সুনিশ্চিত
প্রিয় শিক্ষার্থী,
আমরা জানি তোমাদের দুর্বলতা কোথায়। তোমাদের আতঙ্কের কারণ ও আমাদের অজানা নয়। আমরা জানি তোমাদের দুশ্চিন্তার বিষয়।
প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই সৃষ্টিকর্তা রহমতে ভালই আছেন। আজকের এই পোস্টটি হতে চলেছে পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্বন্ধে এবং পরীক্ষার আগে আপনি কিভাবে পড়বেন কিভাবে পড়া উচিত এবং আপনাদের ভুলগুলো এখানে আমি আমার নিজস্ব চিন্তাভাবনা অনুযায়ী আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। তার পাশাপাশি আমি আপনাদের কিছু পরামর্শ দিতে চাই যে আপনি কিভাবে ভালো করতে পারেন সামনের পরীক্ষা গুলোতে।
আমাদের সমস্যা কোথায়?
আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হলো পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়া। এবং এর বড় কারণ এবং প্রদান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা এই মোবাইল ফোনটি। যারা পড়তে অনেক সুখ অথবা এমনিতেই পড়াশোনায় মনোযোগী নয় তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরো দেখা যায়। তাছাড়াও কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার প্রতি অত্যাধিক মনোযোগী থাকে, অথবা অন্য কোন বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হওয়াতে পড়াশুনার প্রতি অতটা মনোযোগী হয়ে ওঠা যায় না। সুতরাং আমাদেরকে ওইসব কাজগুলো বর্জন করতে হবে কিংবা আপাতত বিরত থাকতে হবে । যাতে আমাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগটা অক্ষুন্ন থাকে।
আমাদের কেন বই পড়তে ভালো লাগে না ?
অনেকেই হয়তো ভুলে থাকবেন আমার বন্ধু পড়াশোনাতে খুব ভালো, ওর পড়াশোনাও খুব ভালো লাগে । কিন্তু আমার কেন ভালো লাগে না ? এই সমস্যাটা অনেকেরই হয় তবে এই সমস্যার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এই কারণগুলো আবার ব্যক্তির ভিন্নতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকেই বইগুলোকে শুধু মুখস্থ করে। কিন্তু বোঝার চেষ্টা করেনা, বইয়ের মধ্যে যে আনন্দ যে রস লুকিয়ে আছে সেটা তারা বুঝতে পারে না। এইজন্য আমার পরামর্শ থাকবে বইগুলো বুঝে পড়ার। বইগুলো যদি আপনি বুঝে পড়েন তাহলে খুব সহজেই মূল কথাগুলো মনে রাখতে পারবেন এবং সহজেই আপনি সেগুলোকে আয়ত্ত করতে পারবেন। এবং পড়াশোনার প্রতি আপনার মনোযোগ এমনিতেই বেড়ে যাবে। আপনি যখন কোন বিষয়ে সম্পর্কে বুঝতে শুরু করেন, কিন্তু দেখছেন আপনার পাশের বন্ধুটি সেই বিষয়টি বোঝেনা আপনি যখন তাকে এই বিষয়টি বুঝান, অথবা আপনার এই বিষয়টি বোঝার জন্য আপনার শিক্ষক আপনাকে উদ্দেশ্য করে সবার সামনে আপনার প্রশংসা করে। তখন আপনার প্রশ্নের প্রতি একটি আলাদা আগ্রহর সৃষ্টি হয়।
কিছু কিছু বিষয় অকৃতকার্য ও খারাপ ফলাফলের কারণ কি ?
অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। তারা কিছু কিছু বিষয় ভালো রেজাল্ট করে, কিন্তু কিছু বিষয় খুবই খারাপ ফলাফল লাভ করে।
যেমন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা অনেক ক্ষেত্রেই বাংলায় অকৃতকার্য হয় অথবা খারাপ রেজাল্ট করে। এর কারণ তারা সারা বছর পদার্থ রসায়ন জীববিজ্ঞান এবং উচ্চতর গণিত নিয়ে পড়াশোনা করে কিন্তু বাংলাকে তারা অধিক গুরুত্ব দেয় না যার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বাংলায় ফলাফল খারাপ হয়। সুতরাং আমাদের সবগুলো বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কোন বিষয়কে অগ্রাহ্য করলে চলবে না।
বাণিজ্য গ্রুপের শিক্ষার্থীরা , তাদের গ্রুপের বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অংক করতে গিয়ে যখন গরমিল হয়, তখন অন্য বিষয়ের প্রতি ভাবনা মাথায় আনতে পারে না।
মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা, তারা বলেন আমাদের এত বেশি থিওরিক্যাল পড়াশোনা যে এর আলাদা করে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আর এই কারণে A+ পাওয়াটা অতটা সহজ হয়ে ওঠেনা।
সুতরাং আমি বলতে চাইবো যে সকল বিষয় পড়াশোনা করা উচিত । কোন একটি বিষয় কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য সাবজেক্ট বা বিষয়গুলোকে যেন ভুলে না যাওয়া হয়।
কখন থেকে আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ?
অনেক শিক্ষার্থীরা মনে করেন যে পরীক্ষার কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যাবে। কিন্তু এটা কতটা ফলপ্রসু তা আমি জানিনা। কিছু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগের দিন রাত্রে সমস্ত বই পড়ে পরীক্ষা দিতে চান। পরীক্ষার হলে গিয়ে সমস্ত কিছু ভুলে যায়। পরীক্ষার আগের দিন রাত্রে বা কিছুদিন আগে থেকে পড়া শুরু করলে মস্তিষ্কের উপর একটা চাপ পড়ে। তাছাড়াও পড়াগুলো ভালোভাবে বোঝা যায় না বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে এবং সেগুলো পরীক্ষার হলে গিয়েও মনে থাকে না। এজন্য আমাদেরকে বছরের শুরুতেই পড়া শুরু করতে হবে। এবং অল্প অল্প করে সমস্ত পড়াগুলো পড়তে হবে। পরীক্ষা কিছুদিন আগে থেকে সেগুলোকে শুধুমাত্র রিভিশন দিতে হবে।
কিভাবে পড়তে হবে ?
কিভাবে পড়তে হবে এই বিষয়টা হয়তো সবাই জানে। কিন্তু পুরোপুরি এটাকে কেউই হয়তো অনুসরণ করে না।
ভালোভাবে পড়ার ক্ষেত্রে চারটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সে চারটি বিষয় হলোঃ শোনা, বলা, পড়া, লেখা।
বই পড়তে হলে জোরে জোরে পড়তে হবে।এর মানে হলো আপনাকে শব্দ করে পড়তে হবে যাতে আপনি শুনতে পান। অনেকেই আছে শব্দ না করেই পড়ে। মনে মনে পড়ে। এই উপায় পড়লে আপনার পড়া গুলো কম মনে থাকবে এবং আপনি যদি জোরে জোরে পড়েন বা শব্দ করে পড়েন তাহলে সেই পড়াগুলো আপনার মনে থাকবে। কারণ আপনার মস্তিষ্ক আপনার শব্দগুলোকে সে মনে রাখছে এবং চোখ সেই পড়াগুলোকে দেখে।সুতরাং মস্তিষ্ক খুব ভালোভাবে আপনার সেই পড়াগুলোকে মনে রাখে। কিন্তু আপনি যদি মনে মনে করেন তাহলে সেই পড়া খুব ভালো মুখস্ত থাকে না কিংবা মনে রাখা সম্ভব হয় না।
এজন্য আমাদেরকে শব্দ করে পড়তে হবে।
এবং পড়ার পাশাপাশি আপনি মনোযোগ সহকারে সে শব্দগুলো শুনবেন। কোন topic পড়ার শেষে সেগুলোকে লিখে নোট করুন। কারণ আপনি যদি লেখেন তাহলে আপনার খুব সহজেই সেই পড়াগুলো মনে থাকে এবং মুখস্থ হয়। পরবর্তীতে যখন আপনি সেই পড়াগুলোকে লিখেন বা লেখার চেষ্টা করেন তখন মস্তিষ্ক খুব সহজেই সেই লেখাগুলো আপনাকে মনে করিয়ে দেয়। এর সাথে আরও একটি উপকারিতা আছে পরীক্ষার আগে আপনি সেই নোটগুলোকে রিভিশন দিতে পারবেন । আপনাকে আলাদাভাবে কোন নোট করতে হবে না।
পড়তে কোন মাধ্যম ব্যবহার করবেন ?
করোনা কালীন সময় অনেকেই অনলাইনের ওপর ঝুঁকছেন। অনেক শিক্ষার্থীরাই অনলাইনে পড়াশোনা করছে। এখন স্কুল কলেজ সবকিছু খুলে দেওয়ার জন্য সকলেই আবার স্কুলে যেতে পারছে। তো এখন শিক্ষকের সহযোগিতাও নিতে পারছে। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে।এখনো অনেক শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করছেন। এখানে সমস্যার কোন বিষয় নেই। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীরাই আছেন যারা অনলাইনে ক্লাস করার জন্য অভ্যস্ত নয়।অথবা তারা যখন অনলাইন ক্লাস করে তখন পড়াশোনার বাহির থেকে অন্য কোন বিষয় তাকে আকর্ষণ করে। যেমন মনে হল আপনি অনলাইনে ক্লাস করতে ইউটিউবে ঢুকলেন ইউটিউবে গিয়ে আপনি খুবই ভালো একটি মুভি বা একটি নাটক দেখতে পেলেন নাটকটি আপনি দেখলেন ।এখানে আপনি অনলাইন ক্লাসের উদ্দেশ্য নিয়ে ইউটিউবে ঢুকলেও আপনি অন্য কোন বিষয় মনোযোগী ছিলেন এক্ষেত্রে আপনার পড়ার সময়টি নষ্ট হয়েছে। তাছাড়াও অনলাইনে দীর্ঘক্ষণ ক্লাস করলে আপনার চোখের এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য আপনার প্রয়োজন না হলে অনলাইনে ক্লাস না করে শ্রেণী শিক্ষকের থেকে সহায়তা নিতে পারেন। আপনি যদি পাঠ্য বই ব্যবহার করে সেখান থেকে পড়েন তাহলে আপনার পড়াগুলো সহজেই মনে থাকবে।
সুতরাং আমি আপনাদেরকে এটাই বলব যে অনলাইন ক্লাসের থেকে সাধারণ ক্লাস গুলোই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।
কতটুকু সময় পড়বেন ?
প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মেধা মনন স্মৃতিশক্তি একই রকম নয়। কেউ কেউ একবার পড়লে তার মুখস্থ হয়ে যায় কেউ দুইবার পড়তে হয় আবার কারো কারো অনেকবার পড়ার পরে পড়াটি মুখস্ত হয়। তবে প্রত্যেকে ই তাদের মেধা অনুসারে, অর্থাৎ যাদের যে বিষয়টি পড়তে যত বেশি সময় লাগে সেই অনুযায়ী একটি রুটিন তৈরি করে প্রত্যেকটি সাবজেক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করে পড়তে পারেন। তবে পরামর্শ থাকবে একটু বেশি সময় নিয়ে পড়ার জন্য যাতে আপনি পড়াগুলোকে খুব ভালোভাবে বুঝতে এবং মুখস্থ করতে পারেন।
রুটিন তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে যে, আপনি কতটা সময় অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করছেন সে সময়টুকু আপনার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং রুটিনে আপনি খেলাধুলা এবং সাধারণ কিছু বিনোদন রাখবেন। কারণ সারাদিন পড়াশোনা করলে একঘেয়েমি চলে আসে এবং পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগীতা চলে আসে।
মুখস্ত পড়ার দিকে নজর দেওয়া কি বেশি জরুরী ?
আমরা অনেকেই আছি যে, শুধু মুখস্ত করি। আমাদের পরীক্ষার যে কাঠামো সেটি হলো সৃজনশীল পদ্ধতি। এর মানে আমাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে। সকল বিষয় মুখস্ত করা উচিত নয়। সেগুলো বুঝে পড়তে হয়। আমরা অনেকেই আছি যারা বিভিন্ন ধরনের গণিত এবং অন্যান্য বিভিন্ন থিউরিটিক্যাল বিষয় মুখস্ত করে মনে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এগুলো অনেক সহজ হবে যখন আমরা এগুলোকে বুঝে পড়বো তখন আর আমাদেরকে এগুলো মুখস্ত করতে হবে না। অনেক সময় শিক্ষকরা বলেন যে জ্যামিতি মুখস্ত করতে হবে, আসলে এটি সঠিক নয়। জ্যামিতি যদি আপনি বুঝে মনে রাখেন তাহলে খুব সহজেই পরীক্ষার খাতায় আপনি সেগুলোকে লিখতে পারবেন আপনার মনে থাকার কোন প্রয়োজনীয়তা সেখানে থাকবে না। এবং মনে করুন আপনি একটি বিষয় পড়লেন না অথবা পরীক্ষায় আপনি সেটা কমন হয়নি। সেখানে আপনি যদি বিগত যেগুলো আপনি পড়েছেন সেগুলো যদি আপনি বুঝে পড়েন তাহলে অনেক সময় আনকমন প্রশ্নগুলো লিখতে পারবেন।
সুতরাং এখানে আমার পরামর্শ থাকবে যেখানে মুখস্থ করার দরকার নেই সেখানে যেন মুখস্ত না করা হয় বুঝে পড়াটাই শ্রেয়।
কিভাবে মুখস্ত করবেন ?
অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা মনে করেন যে তাদের স্মৃতিশক্তি ভালো না। অর্থাৎ তারা মুখস্ত করা ভালো পারে না। এটি সঠিক নয়। আপনি যত চেষ্টা করবেন আপনার স্মৃতিশক্তি ও ততটাই বাড়বে। আপনি যত পড়বেন আপনার মেধা মন ততটাই বাড়বে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের উপর। আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর। কিন্তু তারপরও আপনি যখন মুখস্ত করতে পারেন না---এর অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন আপনি হয়তো মনোযোগ সহকারে পড়েন না, হয়তোবা মুখস্থ করার সময় অন্য কোন বিষয়ের প্রতি আপনার মনোযোগ থাকে। সুতরাং, ভালোভাবে মুখস্ত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। আপনি প্রথমবারে মুখস্ত নাই করতে পারেন তবে যতবার না মুখস্ত হয় ততবার আপনি মুখস্ত করার চেষ্টা করুন এবং কিছু বার সেই পড়াটি আপনি আপনার খাতায় লিখুন তাহলে খুব সহজেই পড়াগুলো আপনার মুখস্থ হয়ে যাবে।
English grammar কতটুকু মুখস্ত করা প্রয়োজন ?
আমরা অনেকেই আছি যারা ইংলিশ সম্বন্ধে খুবই দুর্বল। ছোটবেলা থেকেই এই দুর্বলতা টা চলে আসছে। সে ছোটবেলার থেকেই ইংলিশ গ্রামারের প্রতি আমাদের অনিচ্ছাটা প্রবল। আমরা ইংলিশ গ্রামার গুলোকে আয়ত্ত করি না। শ্রেণী যত উপরে উঠে থাকে তত ইংরেজি কঠিন মনে হতে থাকে। এর কারণ এই একটাই যে আমরা ইংলিশ গ্রামার জানিনা। সুতরাং আমাদেরকে ইংলিশ গ্রামারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ইংলিশ গ্রামার গুলোকে খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। এবং ইংরেজি শব্দের অর্থগুলোকে আমাদের জানতে হবে। যদি আমরা নিজেরাই ইংরেজি লিখতে চাই। ইংরেজিতে কথা বলতে হলে অথবা লিখতে হলে আমাদের কি ইংরেজি গ্রামার জানতেই হবে। যখন বড় কোন চাকরি কিংবা কাজের জন্য আমাদের ইংরেজি জানার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল যেসব কাজগুলো আছে যেমন আউটসোর্সিং এবং অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিজনেস বা ব্যবসা এগুলোতে আমাদের সকলকে ইংরেজি জানা অবশ্যই কর্তব্য। ইংরেজি না জানলে আমরা সেখানে কোন কাজই করতে পারব না।
হাতের লেখা ভালো হওয়ার কি প্রয়োজনীয়তা আছে ?
হাতের লেখা একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। পরীক্ষার খাতায় ভালো নাম্বার পেতে হলে হাতের লেখা জানাটা ভীষণ জরুরী। গণিত বিষয় হাতের লেখার ততটা গুরুত্বপূর্ণ করা হলেও বাংলা ইংরেজি এবং অন্যান্য সাবজেক্ট বা বিষয় হাতের লেখার বিশেষ গুরুত্ব আছে।
সুতরাং আমাদেরকে হাতের লেখা ভালো করতে হবে এবং সুন্দর করতে হবে।
হাতের লেখা ভালো সুন্দর করার উপায় ?
হাতের লেখা ভালো সুন্দর করার অনেক অভিনব পদ্ধতি আপনি ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন । তবে হাতের লেখা ভালো করা এর মানে হল আপনি হাতের লেখা গুলোকে পরিপাটি ভাবে লিখবেন। আপনি লেখার মধ্যে কাঁটাশিটা করবেন না। যদি কোন লেখা ভুল হয় তবে তার মাঝে একটি টান দিয়ে লেখা থেকে কেটে নেবেন (উদাহরণস্বর)
এভাবে কেটে নেওয়া টাই শ্রেয়। তাছাড়া হাতের লেখা আপনার পরিপাটি থাকবে। যাতে পরীক্ষক সহজেই আপনার খাতার লেখাগুলো দেখে বুঝতে পারেন এবং বিরক্তবোধ না করেন।
হাতের লেখা সুন্দর থাকলে পরীক্ষক খুশি হন এবং তার লেখাগুলো দেখতেও ভালো লাগে আর এজন্য পরীক্ষক অনেক সময় বেশি নাম্বার প্রদান করেন। সুতরাং বেশি নাম্বারের উদ্দেশ্যে সুন্দর হাতের লেখা করাটা ভীষণ প্রয়োজনীয়। হাতের লেখা ভালো করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বেশি করে লেখা। আপনি বাসায় বসে অল্প অল্প করে ভালো করে লেখার চেষ্টা করলেই আপনার হাতের লেখা ভালো হয়ে যাবে। এবং আপনি চাইলে আপনার ক্লাসের কোন বন্ধুর কাছ থেকে (যাদের হাতের লেখা ভালো) তাদের লেখাগুলোকে ফলো করতে পারেন।
তবে আপনার হাতের লেখা তখনই ভালো হবে যখন আপনি অধিক পরিমাণে লিখবেন।প্রত্যেকবার লিখতে গেলে ভালোভাবে লেখার চেষ্টা করবেন তাহলেই আপনার হাতের লেখা ভালো হবে।
পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত ?
সিলেবাস কমপ্লিট হয়নি ?
কিন্তু পরীক্ষা এসে গেছে.....
এমন সময় কি করাটা বেশি প্রয়োজনীয় ?
এমন সময় নতুন কোন টপিক বা বিষয় না পড়াই ভালো। কারণ এখন আপনি নতুন কোনো বিষয় সম্পর্কে পড়লে আগের যে পড়াগুলো আপনি পড়েছেন সেগুলো ভুলে যাবেন। সুতরাং বিগত সময় গুলোতে যেসব পড়াগুলো আপনি পড়েছেন বুঝেছেন সেই পড়াগুলো কি বারবার রিভিশন দেন যাতে ওই টপিকগুলো থেকে যদি কোন প্রশ্ন আসে তাহলে সেগুলো যেন আপনি উত্তর করতে পারেন।
পরীক্ষা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, এখানে আমাদেরকে কি কি করতে হবে ? কি কি অনুসরণ করতে হবে ? কোন কোন বিষয়গুলো পড়তে হবে ? কোন কোন বিষয়গুলো বেশি প্রয়োজনীয় ? এসব প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় জাগে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি গুলো আমাদেরকে নিতে হবে পূর্বের পড়াগুলোর রিভিশন অনুযায়ী। পূর্বের যে পড়াগুলো আমরা পড়েছিলাম সেই পড়াগুলো কি বারবার রিভিশন দিতে হবে। তাছাড়া বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষায় আস া প্রশ্নগুলোই যদি আমরা ফলো করি তাহলে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে প্রশ্ন কমন বাজার সুযোগ থাকে। এগুলোই ভালোভাবে পড়লে পরীক্ষায় অধিক নাম্বার পাওয়া যায়। বিগত প্রশ্নগুলোর দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে যে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো থেকেই ঘুরে ফিরে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন আসে। সুতরাং সেগুলো পড়লি আমাদের পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা সহজ হয়ে যাবে।
পরীক্ষার আগের দিনে কি করনীয় ?
পরীক্ষার দু একদিন আগে থেকেই পরীক্ষার একটি চিন্তা মাথায় আসে। তবে সেই চিন্তাটা আরো গভীর হয় যখন পরীক্ষাটা আগামী দিন থাকে। অর্থাৎ পরীক্ষার একদিন আগে। এই সময় আমাদের সব থেকে বড় ভুলগুলো হলো আমরা বইয়ের উপর হুমরি খেয়ে পড়ি। যে বিষয়গুলো আমরা কখনো পড়িনি কিংবা জানিনা সে বিষয়গুলো পড়ার চেষ্টা করি এবং মুখস্থ করার চেষ্টা করি। এজন্য বিগত সময় গুলোতে যতগুলো প্রশ্ন কিংবা যতগুলো টপিক আমরা পড়েছি বুঝেছি সেগুলো ভুলে যাই। এই সময়ে আমাদের করণীয় বিগত সময়গুলোতে যা পড়েছি সেগুলোকে রিভিশন দেওয়া এবং নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে না করা। এবং যতটা পরিমাণ সম্ভব হাসিখুশি এবং উৎফুল্ল থাকা।
পরীক্ষার আগের দিন রাত্র কেমন হওয়া উচিত ?
পরীক্ষার আগের দিন রাত্রে আমরা বইয়ের প্রতি যে হুমড়ি খেয়ে পড়ি সেটা একদমই ঠিক নয়। পরীক্ষার আগের দিন খুব কম পড়ে, বেশি রাত্রি জাগরণ না করেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। ঘুমোনোর আগে আগামী দিন পরীক্ষায় হলে যা কিছু প্রয়োজন যেমন পরীক্ষায় যাবতীয় জিনিসপত্র যেমন কলম, রুল, প্রবেশপত্র, স্কেল, ইত্যাদি জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হবে সেগুলো আগের দিন রাত্রেই গুছিয়ে রাখা ভালো। পরীক্ষার জন্য অধিক পরিমাণে চিন্তিত না হয় উৎফুল্ল ভাবে হাসিখুশি ভাবে থাকা প্রয়োজনীয়। আপনি যদি চিন্তিত থাকেন এবং ভীত থাকেন তাহলে আপনার পড়া বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে।
পরীক্ষার দিন সকালের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত ?
পরীক্ষার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া উচিত।
অনেকেই আছেন যারা ওরে অতিরিক্ত চিন্তায় সকালের নাস্তা না করেই পরীক্ষার হলে চলে যান, এটি একদমই ঠিক নয়। আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া উচিত।
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে প্রয়োজনে জিনিসপত্রগুলো গতরাতে যেগুলো গুছিয়ে রেখেছিলেন সেগুলো নিয়ে, সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া উচিত। এবং যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকা।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে করণীয় ?
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূর্বে ফলের বাহিরে কোন কাজ থাকলে সেগুলো সম্পূর্ণ করে ফলে প্রবেশ করা উচিত। তাছাড়া যদি টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলেও সেসব কাজগুলো আগেভাগে সেরে নেওয়া ভালো।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর করণীয় ?
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর আপনার নির্ধারিত আসনটি গ্রহণ করতে হবে। এবং সেই আসনের নিচে কোন অপ্রয়োজনীয় কাগজ কিংবা কোন প্লাস্টিক ব্যাগ অথবা অন্য কোন আবর্জনা থাকলে সেগুলোকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার বেঞ্চের নিচে অথবা আসনের নিচে কোন ধরনের লেখা কাগজ যেন না থাকে যদি থাকে তাহলে সেগুলো তৎক্ষণাৎ বাহিরে ফেলে দিতে হবে।
পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার পর আপনার বন্ধুরা হয়তো আপনাকে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে পারে যেমন চকলেট ও অন্যান্য কিছু সেগুলো আপনি আপনার সাথে রেখে দিতে পারেন । সেগুলো তৎক্ষণাৎ না খাওয়াই ভালো। কারণ চকলেট কিংবা চুইংগাম খেলে অনেক সময় পেটে ব্যথা কিংবা অন্য কোন সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও অনেকে আছেন পরীক্ষার হলে যাওয়ার পর রাস্তার ধার থেকে চুইংগাম চকলেট ফুচকা এবং আরো অন্যান্য অনেক কিছু যেমন ঝাল মুড়ি ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। এগুলো খাওয়ার জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং কোন ধরনের ফাস্টফুড না খাওয়াই ভালো।
পরীক্ষার সময় কি করণীয় ?
পরীক্ষার সময় উত্তরপত্র দেওয়ার সাথে সাথে উত্তরপত্র ে মার্জিন এবং সঠিকভাবে নাম রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও বিস্তারিত তথ্য ফিলাপ করতে হবে। সমস্ত তথ্য পূরণ করার পর পরীক্ষার খাতায় মার্জিন দিতে হবে। মার্জিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পেন্সিল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করা ভালো। যদি কোন ধরনের ভুল হয় তাহলে রাবার দিয়ে মুছে পুনরায় মার্জিন দেওয়া যাবে।
পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্য নিশ্চয়ই বলপেন ব্যবহার করবেন। কেউ জেল পেন ব্যবহার করবেন না।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার সাথে সাথে প্রশ্নপত্র যে ভালো করে পড়ে দেখতে হবে। যদি কোন প্রশ্ন কমন না বাজে তাহলে চিন্তিত না হয়ে বা বিব্রত না হয়ে যেসব প্রশ্নগুলো কমন সেগুলো লেখার চেষ্টা করা। যদি এই সময় চিন্তিত বা বিব্রত হয় তাহলে অন্য উত্তর, প্রশ্নের উত্তর গুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোন সমস্যা হলে নিচে শিক্ষকের কাছে সমস্যার কথাগুলো বলতে হবে।
সময় থাকতে থাকতে পাঁচ মিনিট আগে উত্তরপত্রটি পুনরায় রিভিশন দিতে হবে। কোথাও কোন ভুল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য
পাঠকরা আরও যা পড়েঃ
পাঠকরা আরও যা পড়েঃ
নূরানী পদ্ধতিতে 72 ঘণ্টার মধ্যে কুরআন শিক্ষা | Quran teaching in 72 hours in Noorani method | PDF download